প্রি- অর্ডার নিয়ে বিস্তারিত রচনা লেখার কি আছে।যেহেতু কবি মাহবুবা করিম সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই আপনাদের মাঝে তাহলে জাস্ট টুক করে ২৫০ টাকার বই ৪০% ছাড়ে ১৫০ টাকায় প্রি-অর্ডার করে দিন। প্রি-অর্ডার নিশ্চিত করতে প্রকাশনার ইনবক্সে জানাতে পারেন বা সরাসরি কবির নিকটও অর্ডার করতে পারেন।
কবিতা মূলত বোধের গ্যারেজ অনুভূতির সাজসরঞ্জাম। এদিক থেকে কবিতায় কবি মূখ্য নয় আবার গৌণও নয়। একজন কবি ভাষাবিদ কিংবা বাক্যবতার যাই হোক না কেন তার আগে তিনি হয়ে উঠেন শব্দ নির্ভর কল্পস্রোতা ধ্যানী।
কবিতার মধ্য দিয়েই কবি নিজেকে হাতুড়ি-পেটা করে করে তৈরী করেন সুন্দর আয়ুর ধাতব। তেঁতো মুগ্ধতার হাটে একজন কবি কেবল কবিতা ফেরি করে পুনঃবাহারী মুগ্ধতায় আসা যাওয়া করে। সে হাটে কবিকে সবাই বুঝবে কবিতার সৌন্দর্য দিয়ে- এমন ভাবনাটা সাতদিনের শিশু 'রেসার অব গোল্ডেন' হবার মতোই খোঁড়া-স্বপ্ন। তেমনি কবি 'মাহবুবা করিমকে' সবাই বুঝে বুঝে, মুগ্ধাস্বরে পড়বে, জানবে, খুঁজবে এমন নিশ্চয়তা দেয়াও অবাঞ্ছনীয়। তবে এটা সত্য কবি মাহবুবা করিমকে পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করতে অনেক আপেক্ষিক বোধের জার্নি দিতে হয়েছে তার কবিতা পাড়ায়। সেখানে তার কবিতার বেশ কিছু মৌলিকত্বের ভেতর যেটা সবচাইতে বেশি ডেকেছে আমায় তা 'হৃদয়ের রঙ'।
"জ্যোৎস্নাপথের হলুদ মিনার" পাণ্ডুলিপি পড়ে আমি শতশত বার নিজেকে নানান চরিত্রে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছি। মনে হয়েছে, এই যে হৃদয়ের বহুবিধ রঙে একজন কবি তার কবিতার মধ্য দিয়ে একজন মানুষকে নানান বোধের পূজারী হিসেবে সৃষ্টি করছে, এখানেই তার চরম স্বার্থকতা। এখন যদি কেউ বলেন হৃদয়ের রঙ কি? বোধ সে আবার কেমন...ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে তাদের একটি কথাই বলবো - এই যে আমরা মানুষ জীবনে নানাবিধ ভোগের পাহাড় গড়ি, সেসব ভোগের মধ্যে আছে মুগ্ধতা,অস্থিরতা,বিষন্নতা,হতাশা, তপ্ততা, তিক্ততা কিংবা আনন্দের হাওয়াস্পর্শ...এসবের কি কোন আকার আছে? মৌলিক চারটি রঙ দিয়ে কি এসব ঢেকে রাখা যায়? ঘাসফুলে শিশির মাখোমাখো ইশারালব্ধ দোলের মুগ্ধতা কি কোন ব্যাংকড্রাফটের মাধ্যমে কেনা যায়? প্রেমিকের চুমুর যে আওয়াজ সে কি ব্যক্তিগত এ্যংকর ছাড়া কেউ শুনতে পারে? শোক সীমার বয়স না হয় সাতদিন, স্মৃতিসত্ত্ব অনুভূতির শেষ সীমার বয়স কত - তার কি কোন দর্শনসূত্র আছে? নেই। কবি মাহবুবা করিমের কবিতাও ঠিক যেন তাই। তার কবিতার শেষ কোন বিন্দু নেই তবে ব্যাসার্ধ আছে, আছে বাক্যনাভূতির সুন্দর স্কেল। তার কবিতা খেয়ে পাকস্থলী যে ভাত চায় না এমন নয় তবে তার কবিতা খেয়ে শ্রেফ নিজেকে কচলানো যায় আয়ুর্বেদি মগজ স্নানে!
মোদ্দাকথা- কবিতা যাপনের নয় যাপন থেকেই কবিতা উঠে আসে, উঠে আসা কবিতাই আবার যাপন হয়ে রেস দেয় জীবনাকাশে তারাজোনাকি হয়ে!
কবিতার সৃজনশীলতার নৈপুণ্যশক্তি এবং মানগত সব দিক থেকে বিবেচিত হওয়ায় কবি মাহবুবা করিমের "জ্যোৎস্নাপথের হলুদ মিনার" কবিতাগ্রন্থটি হরকরা প্রকাশন থেকে চূড়ান্তকরণ করা হয়েছে৷ বইটি অক্টোবর মাসের যেকোন সময় প্রকাশিত হবে বলে আশাবাদি প্রকাশক ও প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ।
বি:দ্র: বইটির প্রচ্ছদ করেছেন - Razib Roy
শুভেচ্ছান্তে ও ধন্যবাদান্তে
প্রকাশক
সাগর ইসলাম
০১৩০১০১২০৯৬