'চণ্ডিকা' শুধুমাত্র একটা সাহিত্য পত্রিকা নয়- এ্যালেইনা হোসেন

 'চণ্ডিকা' শুধুমাত্র একটা সাহিত্য পত্রিকা নয়। এটার বিশেষত্ব হচ্ছে প্রত্যেকটা লেখার উপর রীতিমতো মগজ ও গহনের বুলডোজার চালিয়ে আমাকে একেকটা 'অনুধাবন' লিখতে হচ্ছে। এই 'অনুধাবন' বিষয়টা নিয়ে একটু বলা যাক

নরমালি আমরা সাহিত্য নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা, সমালোচনা বা বিশ্লেষণধর্মী লেখা দেখি সাহিত্যে যারা বোদ্ধা লেখক-পাঠক রয়েছেন। একদম সাধারণ পাঠক কবিতার মানে জানতে চায়। তখন লেখকরা বিব্রতবোধ করে। কারণ কবিতা সবসময় আপনার কাছে লিটারেল অর্থে ধরা দিবে না। কিন্তু আপনি বোধের দক্ষতায় গহনে ধারণ করতে পারলে কবিতা বা সাহিত্যকর্ম আপনার মাঝে বহুমাত্রিক চেতনার ডাইমেনশন খুলে দিতে পারে। আমার লক্ষ্য মূলত তাইই ছিলো।
৩৫ জন লেখকদের একেকজনের লেখায় আমি সৃষ্টি করতে চেয়েছি তাদেরই সৃষ্টির সাথে আমার বোধের সংমিশ্রণে এক নতুন চিত্রধারা। যেখানে আমার ভেতরে কি রূপে তাদের লেখাগুলো চিত্রকল্প সৃষ্টি করে অনুধাবনের এক আলাদা জগতে নিয়ে যাচ্ছে, সেই রঙগুলো যেটা তাদেরই শব্দের নকশা থেকে একেবারে নতুন করে আলাদা ভাবে তৈরি হচ্ছে আমার ভেতর, সেইটা কালো অক্ষরে তুলে ধরার প্রচেষ্টা। এই একেকটা লেখার উপর 'অনুধাবন' লেখনী আপনি না পড়লে বুঝবেন না যে কবি/লেখকদের লেখা আপনার চিন্তাজগতের কতো কতো মাত্রায় ঘুরেফিরে লেখার উপর এমন প্রতিক্রিয়া পাঠকের সৃষ্টি হতে পারে, যার উদাহরণ আমার জানামতে আগে কোনো পত্রিকায় দেখা যায়নি। এটা ঠিক গর্ব নয়, বলতে পারেন দুঃসাহস করেই বলা এবং বাড়িয়ে বলা নয়। আর এইদিক দিয়েই 'চণ্ডিকা' পত্রিকাটা ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে, যেটাকে কয়েকমাস ব্যাপি পরিশ্রমে একটা গবেষণামূলক পত্রিকাও বলা যায়।

আর একটু অপেক্ষা মাত্র। বের হচ্ছে ফেব্রুয়ারী বইমেলায় হরকরা প্রকাশন থেকে। সকলের পাঠ শুভ হোক
সম্পাদক
প্রচ্ছদ: নীল ভাস্কর



Post a Comment

Previous Post Next Post