- সামষ্টিক অর্থে কবিতা হচ্ছে অনুভূতির ব্যাকরণ/ সাগর ইসলাম

 



- সামষ্টিক অর্থে কবিতা হচ্ছে অনুভূতির ব্যাকরণ, ধ্যানের তত্ত্ব।

কবিতাকে যখনি আপনি শব্দ বাক্য বিন্যাস উপমা বা কবিতাশক্তির সৃষ্টিশীল স্কেল প্রভাবিত বিভিন্ন ধারার ছকে আবদ্ধ করবেন তখনই দেখতে পাবেন কিছু কবিতা সমালোচক তার কুফলের সুফল ভোগ করবে অনায়সে। তাদের ইন্দ্রে বয়ে চলা গ্রহণশক্তির যুক্তি দেখে ফাঁদে পড়বে কবিউত্তরসুরী লোভান্ধ কিছু সাহিত্যের ব্যাধিনিবাস কবিরাও। অথচ বংশভেদের মতো কবিদের কোন উত্তরসুরী নেই, উত্তরসুরী হয় না। আজকাল কবিতার প্রজন্ম উন্নয়ন নিয়ে যারা সমালোচনা করে তাদের সিংহ ভাগই নিজের ধ্যানসম্পদের দারিদ্রতাকে চাপা রেখে অনুভূতিকে নতুন নতুন ভাষাজেলখানায় আটকে রাখার মধ্য দিয়ে অতি জ্ঞানঋষি হবার সুন্দর- কালোশিল্প প্রচেষ্টা মাত্র।

আমার মতে কবিতা হচ্ছে অনুভূতির লিখিতকার শৈল্পিয় পন্য আর পাঠক হচ্ছে এই অনুভূতির শৈল্পিয় পন্য বাজারের একমাত্র ভোক্তা। কবিতা সমালোচকরা সেখানে কেবলই অবস্থান করে পাইকারি ব্যবসায়ি হয়ে। এরা কেবল তাদের নিজের ভেতর সংগ্রহ করা কিছু ব্যান্ড কিংবা ননব্যান্ডিয় কবিদের কবিতা নিয়ে পাঠকভোক্তা বাজারে যুক্তিমূলক ডিসকাউন্টে কবিতা বিক্রি করে। সেখানে কেউ কেউ নজরুলের পাইকার কেউ কেউ রবীন্দ্রের কেউ কেউ জীবনানন্দের। যদিও এই প্রজন্মের আধুনিক কবিতা সমালোচোকীয় পাইকারেরা ইমতিয়াজ মাহমুদ, আক্তারুজ্জামান আজাদ, অরবিন্দ চক্রবর্তী ইত্যাদি জনের কবিতাপন্য সাপ্লাই করে 'থ্রেট অব ডাইমন্ড পোয়েট্রি ' আলোচনা নিয়ে। যা নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারকে কেবল ইউনিলিভার লি: কোম্পানি দখল করে রাখার মতো চরম ক্ষতিকারক! বিকজ- পাঠক যখন নির্দিষ্ট একটা বাজারে নিজের অজান্তেই আটকা পরে যাবে তখন মুক্ত অনুভূতির চাইতে মূর্ত অনুভূতিরই কদর বেশি করবে।

আলোচনায়: সাগর ইসলাম


Post a Comment

Previous Post Next Post