ঋজু রেজওয়ানের কবিতা

ঋজু রেজওয়ানের কবিতা







রাহা পার হলো


ত্রিবেনীর লাল‌চে আকাশ, নষ্ট চোখ আর ভ্রষ্ট
ধি‌কি‌ধি‌কি ধোঁয়া...। ভেতরে অন্তঃসলিলা সে
কে? সে! প্রশ্ন রেখে___দূরে...
বিআরটিসির চোরা উইন্ড‌স্ক্রিনের নিগম ছড়িয়ে...
অতিক্রম পায়—
নবাবী রাস্তায় জেমস্ওয়াটস‌ন। জ্বল - ছে... নিভ - ছে...
কেউ জানে না তাদের;
ইগন্টো অস্ট্রিক, না দ্রাবিড়। বা‌ড়িতূল্য এক ঘর—
সত্যিই! সে পার হ‌লো—
ট্রানজিট মানুষরা আকাশস্পর্শী দেয়াল
কনুই‌য়ের গুঁতোয় মীন হা‌সি‌তে স‌জ্জিত।
সব একই রকম দেখ‌তে হ‌লেও সব শুরু খাদের কিনার।
তবুও, সে সড়ক প্রশস্ত—
প্রভাত চৌধুরী ‘আনারস’ নিয়ে কী সব মজার—
সাইরাস আলো একাই লিখছে...ত্রিবেনী সঙ্গমে;
সম্পূর্ণই ভিন্নভিন্ন প‌থ—
তার থে‌কে বেশ দূ‌রে... যার অনুভব ভালোবাসি।
সে একাই রাস্তা পার হলো—
_____তি‌নিই কবিতালোর...





নক্ষ‌ত্রের ম‌মি


নক্ষত্র সমান দিন, দ্বারে...
মাঝবয়সী আতার অবাক জঙ্গম,
আতরের রাত পার হয়—
সুজানাবিকেল ছেঁড়া আনারস খেত।
আদার পাতার নিচে...
থোকাথোকা নিরঙ্গম হাওয়ার ভেতর, কারা
দুলে ওঠে কাঞ্চিভরম আদিত্যে।
মৈঠানের চবুতর— হাওয়ার পেখম। তারাও
কি ফির‌ছে হাটবারে?
রা‌হ্নের পান‌তোয়ায়—
বস্তাভর্তি ক্লান্তির সোপান! চিহ্ন রে‌খে যায়!
দিন শেষে কৃষকের...উদাস খেয়াল। কিছু
প্রিয়তমার আহ্লাদ—
ফুটে ওঠে সোনাইল, নামহারা-ফুল। আর
সন্ধ্যার হাটবারের মতো
সব শান্ত হয়ে এলে
ফিরবে কি? ভূ-মধ্যসাগর!
সুপ্তবীজের সন্ধানে...?
তবুও তোমার দিক, অশ্রু নিষ্পলক। দে‌খি—
আনারসের গা আঁকা
বেনারসির ঝলকে...
টইটুম্বুর রসের ফলিত আহ্লাদে নক্ষত্রের মমি।





চাকার পাদ‌দেশ


ভোর জেগে আছে… রাতের-ই কর্ণিয়ায়—!
কাপড়ের নিচে নগ্ন মানুষটাই 'আমি'
মাকু-শানা-তাঁতঘর, ব্যাটারির কারখানা।
এক নির্জনতা থেকে অপর নির্জনতায়—
রাত তার সৌন্দর্যের এক অক্ষয় বিকাশ—!
পলায়নপর 'তুমি' কবিতার বধ্যভূমি
একলাই হয়ে যাও, হাজার লোকালয়েও।
বর্হিদৃশ্যে গতি ও সময়, পুণ্য-হিপোক্রেসি!

Post a Comment

Previous Post Next Post