সামতান রহমানের কয়েকটি কবিতা
আজ হয়ত বর্ষাকাল
যেন চিরকাল আজ ঝুমঝুম
অবাক থেকে আগ্রহ খুলে পড়ছে
মৃতরা সবাই যায় নি
জীবিতরা উপেক্ষার অপেক্ষায়
অভ্যাস ও লেনদেন ভেসে যাবে কি আজ
আসন্ন পদক্ষেপগুলো গুছিয়ে
পায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলাম
আমি ছুটছি সেই বারান্দার দিকে
এ সামান্যেই পড়লাম অনেক
এগারো বছর বারো বছর প্রায় জীবন
বারান্দার ওপাশেই
যুগ যুগ ধরে আজ ভিজতেছে কারা
কারা না-কি ভিজে যাচ্ছে জলে
খড়কুটোর কান্না বিলাপ
তলিয়ে যাচ্ছে খুব
আর এক পা এগুতে পারলেই
একটা সপ্তসমুদ্র দেখতে পেত তারা
সারাদিন বারোমাস ঋতু ভেঙে বৃষ্টি আসে যেখানে।
সাঁতারের পর
যে নদীতে সাঁতার কেটে
ঢেউয়ের দর্জি নিয়ে ফিরেছিলাম
বুকে
সেখানে, পাড়ঘেঁষে জেগে উঠছে
কিংবদন্তি
ক্রমশ দেহ নিচ্ছে সাঁতারের দাগ,
ধুবালু চরতুলে
নিয়ে এসেছি সে নদী--
যা হবে।
কে কখন সাঁতার কেটে ফ্যালে,
ঝাপই নিয়ে নেমে যায় মাছে...
এখন জোয়ারের দিন
অমাবস্যায় ডাকে জল,
তারে রেখেছি
কথায়, গুমোট বিস্ফোরণে।
অনেক রাত এককরে শুয়েছি,
এ গাজন বয়স নিচ্ছে,
অভিজ্ঞতায় ঢিলে যাচ্ছে ঢক।
মুহূর্তে, দিন এসে ঘুরে যায়
কোন কোন দিন ঝুঁকে পড়ে মাসে।
অপেক্ষার এমন সাশিষ,
একটানা ঝিমতুলে দিচ্ছে তাবৎ রিসিভারে।
বিবর্তন
আমাকে পেয়ে গেছে, এমন
বিক্রি দিয়ে,
মাতাল এন্টেনা কিনে
দুঃখী হয়ে গেল একটি সরাইখানা।
এখন সে-ই আসে।
এলে, তারাতারে কিছু কমে যাই!
চতুর দিকে ঢুলুপথ
নেচে ওঠে সঞ্চয়,
আমাকে চুমুক দেয় উটান সংযম।
ভালোভরা জগৎভান্ড
ঝনঝন করে ওঠে রি...
দূরনেয়া নর্তনিয়ায়
তাবৎ কাঁপে। সেই পথে
দূরীভূতর জীবনধরে যাওয়া আসা।
হুহুগ্লাস হতে
জ্বল-জল চেয়ে আছে, প্রত্যেকে নিজে।
কারণে পড়ে যাইয়াসি
অন্য দুঃখের দেশে।
'মাতালমহী আমার থেকে
উড়ে যাওয়া চূরখানা' থেকে
বেরিয়ে আসছে সাবমাতালের স্রোত...
Tags
কবিতাগ্রন্থ