সন্ন্যাসী আরণ্যকের কবিতা

সন্ন্যাসী আরণ্যকের কবিতা






ইভা ব্রাউন

মনতন্ত্র নেড়ে পাওয়া যায় একজন ইভা ব্রাউন
অনেক ভ্রমণ পথে যে ছিল ফুয়েল ও সিরাকায়।
এই ডিস্টোপিয়া ছায়াবৃত্তে আর কোনো উজ্জ্বল
নক্ষত্র নাই, আর কোনো নীল চোখ দেখিনা অঢেল কালোয়। ইভা ব্রাউন, আমার মায়ের নাম কুয়াশা
নদী, সাদা সাদা মরাল ভাসে যার গায়ে। আমাদের
গায়ে এক বাবা বাস করে লজ্জা তার অনূদিত নাম।
ইভা, আমি আজ একক শরনার্থী এই শিরোনামে
আমার ভেতরের সাদা–রঙ বাঘেরা গোঙরায়—
গোঙরায় অনার্যকালীন তীরের আঘাত নিয়ে বুকে!
আয়রনির মোয়া খেতে খেতে উল্টাই বাণী চিরন্তন,
ওরা বলে প্রতিটা সুর্যদিন অন্য এক জীবনের মানে।
এই লোমশ পাঠাদের শিং থেকে আমাকে ফেরাও।
একবার যেতে দাও ঋণের কাছে, যেতে দাও নদীর বুকে— পেয়ে যাই যেন একপক্ষকাল মরালের আয়ু!
এরপর ব্রাউন আমার লাল আর্মি ঢুকে গেলে ঘরে
হয়ে যাও শেষ ম্যাগাজিন, দিয়ে দাও শেষ আলিঙ্গন।



তোমার ভেসে যাওয়ার দিন


শহরে নামতে থাকে ঝুম।
ভিজতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা মন্দির—
ভিজতে থাকি নামে-বেনামে অজস্র আমি।
থাকে না জাপট ও ঝলকের ধ্রুপদী সেনসেশন।
হোক না আষাঢ়ের ঢল, হোক না নয়ন গভীর—
ভেতরে জমে থাকা প্রাচীন জমিদার বাড়ির পুরনো দেওয়াল—চামচিকার সনাতন ঘ্রাণ—বেজিদের বিদগ্ধ বসত—এই জল বৃষ্টিতে পড়ছে গলে—গ্রীক ট্রাজেডির অবধারিত বেদনায়।
আরোধিক তীব্র—তরল-কঠিন তাপিত যা
তোমাকে লক্ষ্য করে জিয়ানো
তাদের ফিউনারেলে—প্রভাতকালীন কাকেদের আর্তনাদ।




রোলিং

নাভী উৎসারিত যে পথ আদিশূন্যগামী—আর্যভট্ট নয়, আমিই তার বাসনা তিয়াসী।
এই মর্মে নিরস্ত্র হচ্ছি অধিকারের চেকপোস্টে—আর তুমি দশমহাবিদ্যা।
আজ প্রখর বসন্ত। ভয়, অন্য কেউ টপক যাচ্ছে বাগান পাচিল—অন্য হাতে ফুটছ তুমি ফুল।
ফানা করতে জানো অনেক সরলে, আমি কোনো সরল বুঝি না।
মুখস্থ রেখেছি ঘ্রাণের একক অনুবাদ—ভুলতে চাচ্ছি এখনো আমি উড়ন্ত ডানা।





ছেদ ও শিকড় বৃত্তান্ত


এবং হেইচা টান। তিরতির। উপড়ানো শিকড়।
যোজক পেরিয়ে দূরবর্তী—বলা চলে শেষ সংবেদ !
করে ডিনাই। ব্যথার কুকড়ানো, অস্থিরতার সাফোকেইট।
ধার্মিক স্বভাবতই জানে, মূর্তির অধিক কিছু সিনের বিহাইন্ড।
দেহ ও আরো সব মোচড়ের মুরিদ। তথাপি—তাকে ফিরে যেতে হয়। নিষ্করুণ।
পতিত।
ক্লান্ত।
ম্লান হাতে
পুনরপি মূল তার। গভীর অবধি রোপনের অদম্যে—
ধূসর ও বিবিধ আবিরসহ আর যা তরল প্রার্থনা;
প্রলেতারিয়েত সরলে যেন সকলই হয় পাওয়া তার।






ফানা হওয়া মৌসুম ও মিউমিউ গুচ্ছ


নিকটে কী দূরে
কোথাও শুকিয়ে যায় ঝিরির রিদম
একটু করে নিভে যায় দোলন কলের সকল সংবেদ।
কিছু কম্পনের হিজিবিজি
জানালায় বসা তেজস্ক্রিয়তার অভিমুখ
শূন্যে কী স্থলে শাণায় জিহ্বা নামের অতীব শাস্ত্র।
নবুয়তের প্রথম এপিসোড
কেন্দ্রাতিক বলের ঠিক বিপরীতে—
যাদের উড়তে আছে ডিস্টেন্স, মাত্রই তারা আস্ফালনগুচ্ছ?
সদেহী হওয়ার মন্বন্তরে
গাছেদেরও থাকে জমকালো পাঠ্যক্রম
ফানা হওয়ার মৌসুম এলে, সুরতহাল আসে এইতো ঝড়!
দ্বিধা মনোতাপ ও সদ্য ফোটানো তরবারির যত ধার
দীর্ঘ কেটে যায়—দুর্বিনীত সারগাম ও ছড়ির দখল!






বেগুনি ইশারা পেরিয়ে


উস্কে তীব্রতা—কে তুমি পাখিদের ডানায় রাখো উড়াল। ভেতর ভেতর কককক অনুভব করি। ঝাপটাই ডানা। পাখনার কম্পন থেকে সঞ্চারিত তড়িৎ—নিখুঁত দম্ভে দেখায় তাড়নের বায়স্কোপ।
সমকামী মশারা বাজায় খঞ্জনী। নাচের আসরে উনবর্ষার ব্যঙ। শরীর ভর্তি খসখস, ঠোঁট ভর্তি গাঢ় লাল সমেত সে’রাত রাখে বেগুনি ইশারা— তাতে কী কুপকাত হতে আছে!
পটাস বিমুক্ত করে চিৎ শোয় বুক খোলা বাদাম। পুনরায় ভরা কটাল—ছলাৎ বন্ধক রাখি স্ববান্ধব লকারে। তথাপি খটখট। তবে কী সিঁদুরের শর্তে বটগাছ হবে ঢেউ!


Post a Comment

Previous Post Next Post