তাপস চক্রবর্তীর কবিতা

 তাপস চক্রবর্তীর কবিতা




বাগদাদী কন্যা


তাপস চক্রবর্তী


গতকাল অনেকগুলো পাখি উড়ে গেছে 

বোধের স্মৃতির পথ ধরে।

এখন শীতের শেষ 

বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে তালপাখায়।

হাতে হাত রেখে 

কতো হেঁটে গেছি এনায়েত বাজার হয়ে ওয়াসার মোড়

এ যেন বাগদাদী মেয়ের গল্প

গল্প ছুঁয়ে যেতেই রাস্তার পাশে জাগে মিথের পাহাড়।


কলেজ ছুটির পর উচ্ছ্বাসে দাঁড়াতাম

বাগদাদী গল্পের সিঁড়ির ধাপে...

এপাশে পুলিশের গোলি কনভেয়র ছোটাছুটি

তার পাশে মোমবাতির পশরা বৃদ্ধ দোকানি।

দোকানি বলতো প্রেমের গল্প, বাগদাদ হয়ে রেঙ্গুন

রেঙ্গুন হয়ে চট্টগ্রাম।


হয়তো আমারও তেমন—

ধুপশলার ম ম ঘ্রাণে অলকানন্দার দোপাট্টায়

জমে স্মৃতি

মাশকারায় ঢাকা চোখে অস্ফুট স্বর

পাওয়া না-পাওয়ার অলিগলিতে হাজার স্মৃতি।

মনে পড়ে আঙুল খেলানো বছর...

আমাদের কাছে আসা, চোখে চোখ রাখা।


তবুও

সিঁড়িগুলো এগিয়েছে এঁকে বেঁকে পাহাড়ের শিখরে

ওখানে বাগদাদী কন্যা শুয়ে আছে নীরবে

কেউ বলে, প্রচণ্ড অভিমানী

কেউ বলে কবরের তেতুল ফুল খসে পড়ে বসন্তে

আবার কেউ বলে ছাতিম ফুল ঝরে শ্রাবণ শেষে...

ছোটে প্রেমের খুশবু

কেউ বলে বুজর্গী পীরদের কেউ।


পাহাড়ে রোজ দুপুরে মানুষের আনাগোনা বাড়ে

কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ে 

পাওয়া না পাওয়ার রেওয়ামিলে খুলে দেয় 

কেউ চুন মেখে দেয় তেতুল গাছের গায়ে

কান্নার জলে জমে ওঠে—

কারো কারো না পাওয়ার স্রোতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post