যমুনা এক্সপ্রেস কুত্রাপি সংখ্যা পর্ব-০২


 যমুনা এক্সপ্রেস কুত্রাপি সংখ্যা    

                  পর্ব-০২









 মনীষা হাজং


কুত্রাপি


১।


রাগ ইমনের ধ্যান ভাঙা মধ্যরাতে

কাতরাতে থাকা নিয়মুান্ত্রিক প্রতিমা জানে 

কানে তার বিষ ঢালা আছে মধ্যযুগের

অদ্য সুখের ফেলে রাখা তাক

হতবাকÑ

কত পাঁক লাগে প্রতিমা গড়তে?

থাক আজ, এসবে কাজ নেই

ঝাঁঝ নেই খাঁচা ভরা পাখিদের ঠোঁটে

ফের যদি যমুনায় বসে ড্রেজার

যে যার কানে যেন তুলো দেয়!


২।


ক্যাবল বেয়ে বৃষ্টি নামা দিনে

যারা চেয়ে থাকে নিষ্ক্রিয় সিলিঙে

তারাই নাকি যুদ্ধজাহাজে পাড়ি দিতো দিগ্বিদিক

ঠিক করে তারা এখনও হাসে না

(ফিক ফিক)

চাষে পায় না আগের মতন জল

ছল করা চোখ নিরব নাকি

দিন দুই পর খাকি পোশাকে 

নামাবে আবার খোরাকি সৈন্যদলÑ

দৈন্য দশার শেষ দানটা খেলে 

প্রসার ঘটাবে সক্রিয় মহাযানে!



 

কৈজাশ কোয়েঝা


কুত্রাপি


১।


জবান খুলে গেলেই ভাদ্দর সামনে

খুদ দর করে জাউয়ের পানিতে মিশায় শিশা

বুদ বিশা—ক্ষার মাখিয়ে চলো কেন?

তন ও মলিন

জীন চেপে উড়ে এসে লাগাম হটাও

খুটাও গেড়ে বসে মোমের উঠানে এককালে

প্রাক্কালে দৌড়ের সুর ভেসে গিয়ে ফিট হলে

গিঁট খোর ফট করেই সলিড ব্যুহের উল্লুক

হিল শুক পাকনা পাল নতুবা জুতার গর্দানের দাম দে


২।


থামো, কত কথা বলতে হবে?

যমও দুয়ারে আগন্তুক লেবাসে তথাস্থ

চিবা সের খানেক আক্কেল তদবীর তো মরাই

ন্যাড়াই পারবে হস্তিপদ তলায় সর্বাঙ্গাসন

আয় শনপাপড়ির প্যাকেটে ভরে দেই মামুরে

জাম উদরে

খেঁাদ ব্যাটা খেয়ালের বিচি ডিম্বের পানিফল

হল বিম্বের জমিনে সেঁদিয়ে রেখেছে আইলের বোধ পাইলের গোদ নিস্তার চাইলেই হয়না লাগে আলোর খামও

 

৩।


বাইরে ভীষন রোদ

সৌধ বানিয়ে ছায়ারা চলে গেছে মিলে

ঝিলে জাগ দেয়া বনায়ন তৃষ্ণায় কাটে ফোঁড়ন

ফিলে নেই অন্তর্লীন ধরফর ঠোঁটের আগে অম্ব

ক্ষমা ল

ট্রমায় পড়লে বুঝবি বাসে কোন সিট চাই

টাই লাগিয়ে যতোই সই করো বিভৎস পাতা

ছাতা থাকলেই শরম কাটেনা বিষয়টা অন্য

বন তো টেবিল বাজালেই কাটবে মজা বলবি ভিজানো ছাই কই


৪।


হাসপাতাল থেকে ফোন আসে এখনো

বাঁশ ঝাপতালে নাচে উত্তরের বাতাস ঘন

ছনও রুইয়ো

শুইয়ো ছাদে কাঁদে যদি শরীর আলতার ঘামে

জ্যামে পড়লে টান লাগে উল্টানো চেয়ারে

বিয়ারে গলা চালো তালের রসে নেশা হবে

গিয়ারে বসা গেলেই হিম নামে কলিজায় গ্যাঞ্জাম

শ্যাম কামের খইলসা কম কাদায় সেলাই করে জাননা যম তো লেদায় সকাল মৌটুসী কত পলাশের নাম জপে বেফাস ছালে


৫।


প্যাপিরাস আগে আসবে না তালপাতা?

ঢাল জেতা বীর ঘুমিয়ে বসে গেলি আচানক

টক লাগলে দাঁত মাজো বনগাদার নির্যাসে

গোগ্রাসে খাও

তাও যদি পেট হতো শান্তি খালই তো তলাহীন

টিন দিয়ে তলোয়ার বানিয়ে এতো গর্জন?

তোর ধন কে নিলো কলসিতো উল্টেছে মামু

বল—শীতে নীলই ভক্ষণ করা উপায় গেছে খোয়া

ভুয়া মিস্ত্রী কুয়া ইস্ত্রী করে পাগাড়ে নামো টানাও চকচকে খাল জাতা


৬।


পায়ে বল থাকেনা, জানো

চায়ে চিনির হিসেবে কাঁচা দোকানী

খাঁচার গেইট গেছে বেড়াতে

বাঁচার ফেইট আঙুলের চলনেই স্তব্ধ

লব্ধ জ্ঞান গরিমা খেয়ে মাতাল চেয়ার

শেয়ার

দরদাম করে নামে কোমরের ভাঁজে দেয় টুক্কি

আপামর লাজে চৈত্র শাঁই করে শীতের গতরে লুকায় পোকায় কোলাহল বাড়ালে আড়ালে বারোমাসি পরগাছা দেখে চেয়ে



 

নিত্যরঞ্জন পাল


কুত্রাপি


১।


কন্যাদান চরম অপমান নারীর,

সূর্যের শক্তি প্রাণের মুক্তি মায়ের অবদানে,

সযতনে ভালবাসে মমতাময়ী মা

ধরণীও ঘরণীরূপে মাতে সৃষ্টির উল্লাসে,

দিনশেষে ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে ভাবি

জীবনের ঋণ পরিশোধহীন রবে অনন্তকাল,

স্নেহের কাঙাল হয়ে কাটবে জীবন 

ভালবাসা পাওয়ার আশা তবু বাকী রবে ঢের, তাইÑ

নারী মহিয়ানরূপে হৃদয়ের কাছে প্রতীয়মান।


২।


মহাসুখে উর্ধ্ব—মুখে চেয়ে থাকো

লাখো লাখো অলীক ছবি মনে আঁকো,

আকাশ থেকে সবকিছু আসবে হেঁকে

বেঁকে, পড়বে মুখে টুপ করে মন্ত্র পড়ে,

যন্ত্র ধরে কাটাও সময় সুরা—সাকী

তাঁরে রাখি এ—অন্তরে, বুকের মাঝে।

বাজে কথা আর কয়ো নাÑ

খানাপিনা দেয় না তো সে কর্মবিহীন 

ধপাস করে আসে না সব খালি খালি

বরং বন্ধ করে মিছে কোলাহল—কলরব—ছল

করো অনুভব এই, মনে ও প্রাণে

শক্তি আসুক ভালবাসুক নিঃশর্তে কর্মসকল।


৩।


নিন্দুক


মসি নিয়ে নিজ হাতে দিনে বা মাঝরাতে যদি করো নিন্দা,

অসি দিয়েকাটো গলা ছলাকলা করো তবÑ

কী প্রয়োজন রাখা আর জিন্দা?

বাঁচিয়ে যদি রাখো চুপ করে থাকো তবে,

ভবে দাও আনিবার দু’চারটা নব নব পঙক্তি

ছাড়ো ঘৃণা ছাড়ো দ্বেষ 

শ্লেষ ত্যাজি, দাও আজিÑবিদ্রুপে ক্ষ্যান্তি

নাই বা হলাম রবি কেউ যদি বলে কবি

দেখাও বা কেন তুমি মহারোষ?

ভ্যাঙ্গাও ঠ্যাঙাও কেনো, 

যেনো আজ করিয়াছি কত দোষ?


৪।


ললনা ছলনা করে কত দূরে গেলে আজি চলে 

বল না ছিল না সে কি প্রণয় তোমার?

ছিন্ন করে ভালবাসা মিছে আশা পিছে কেন রহ,

ভিন্ন কিছু নয়Ñ

ভয় হয়, সে ছিল তুুচ্ছ অনুগ্রহ!

ক্ষীণ ঋণপাশে বেঁধে, 

সেধে যত করিয়াছ খেলা,

হেলা দিয়ে রক্ষঃ, কটাক্ষ করিয়াছ মেলা

বেলা শেষ, তবু আজও বাসি তব সিন্ধুসম ভাল 

বন্ধু তুমি কৃপা করে দয়ামায়া একেবারে ছাড়ো,

পারো যদি ভালবাসা করো পরিগ্রহ।

 

৫।


নববরষে


দিন যায় মাস যায় অসীমের নিশানায়

ক্ষীণ আশা, ভালো হবে আগামীর জামানায়,

হায় ভালো আসে না, দুঃস্থ ভাসে নাÑ

হরখিত—বন্যায়,

অন্যায়দুর্নীতি বেড়ে চলে প্রতিদিন 

হীনকাজে রাজে মন

খুঁজে ফেরে সারাক্ষণ যত ধন—সম্পদ

মোহ—মদে লিপ্ত, অকারণে ক্ষিপ্ত ধর্মের লেবাসে

গরিবের খিদে পাক রোগে—শোকে মরে যাক 

তাতে কার কী আসে?

আতসে ভরে যাক, ধনীসব মজা পাকÑএই নববরষে...



 

দিপংকর মারডুক


কুত্রাপি


১।


ইচ্ছাময়ী তর্ক করি ন্যায়মাত্র শেষে,

পাত্র জ্ঞান দন্ধ করে পিষে যারা হয়

সমবেত খুন, মুন যদি বলো আগুন,

চিৎ যখন মরি, উতলা কুর্নিশের নীচে

করি কি পর্ব দলে সমস্ত যমুনা?

বলয়মান তলোয়ারÑনীতি বাক্য

স্থিতি করে অমাধুরীর ভান—; মান

স্ব—জলে কত—বা প্রাক—প্রগতির হাঁস

শূন্যস্থানে সেটাও পাবোÑনাকি চোরা

বাঁশ; ঘর্ষ মেলে দাও মিথুন মূর্তির বর্ষ!

নাকানি চুবানি হলাহল শব্দে শব্দবরুণ


২।


বাক্যমুখী চলে দিন গানের সব ছুতায়

ফলায় বরফ, খেলায় হরিণ যত বৈশাখ

কাটায়; ছেড়ে ছুঁড়ে প্রকাশিত রেখা

শিখা নিয়ে যুবতী উদাসীনে; ক্ষেত্রদিনে

গোত্রের হাওয়ায় রঙিন তেলে যাবো...

গুনহারা নুন খেয়ে থাকবে হিরোশিমা

প্রতিমা, পরিক্রমা প্রত্যেকদিনের নয়;

গুচ্ছ কি শাবক, প্রাপক আমি ঠোঁটের

নদীস্রোত হেঁসে কত শত মেঘলা স্পর্শ

দুর্ধষ নিজান ডাকাইণ যদি কেন হই

নই বা নেইÑথাকি যৌনির গ্রীবাসম্মত


৩।


সম্মুখ তোমার ঘরÑদেহÑবাড়ি

নাড়ি কেটে তোলো মুক্ত আবহাওয়া

পাতায়—পাতায় শীর্ষ সূর্যের মসৃণ

ছাতা ভেঙে ভূদৃশ্যের ঘন কবজি

নত অনুকরণ লালকুয়াশা স্তূপে, সে

আলো আর আলেয়ার মৃদু মেঘগুঞ্জন

প্রতিকূলতার সবজি; বর্ণনা বৃক্ষের;

তা—না পর্যাপ্ত, কোমলতার রক্তদর্পণ

অর্পণ করে তোলো বিন্দু গোধূলির পর

সর কী সরু লিলিলিলপির আগে রাখে

দিগন্তেরা;  ব্রজপাত, উপশম, ধাতুঘাত;


৪।


যোশি চান বশি করে নর্দমার জাল

চাল বুনে থাকিÑমিশে শুরুর এক

বুঝি নাকি মৃত কাদা উৎসর্গের মত

শত প্রতিম সংকোচ, বধুপাঠে শিখেছে

গর্জনুলীর শিশু’রা; কিসে খেলি তুষ

চুষ কালোজামের! ঝ—র—ঝ—র ঝরে;

পরে না পুনম, নরম বলি কাকে মুহূর্ত?

বাগানে মেঘ; বেগ পাই বাসনায় ব্যক্তিগত

ক্ষত সে রঙ হারÑকার নামের অচূড়ায়

ক্যান্সার; কোথাও বা আছে পাখিমারা

ঘুমপাড়া শুশ্রƒষা বুনন করে এ—বেদিপুর


৫।


বাহির যে পটভূমি ফুলের পাশে দৃঢ় দু’টি

জাহির করি না শ্রীমতি পরাজিত বিশ্বাস

কে—বা শিব সনদপ্রাপ্তে শ্মশানবাহিত—?

ধোঁয়া ধোঁয়া প্রাণের বায়ু কিছুদিন তদুপরি

নারী তুমি জলের শ্রম্নতি। জরারন্ধের মুকুটে;

ফুটে ফুটে বাদাম, তালির তালিকা নিয়ে ব্রতি

হারাধন জানি অনাগত ঘাসের কাটায় সাম্রাজ্য

ত্যাজ্য পিতার সংশয় ঘোড়া যাত্রীতে জারক

বিচারক হাতে প্রমাণ করো রূপান্তরিত হত্যা

হে গারদÑমরদ নিরবতাÑমহালয়ার পেনসিল

ফাঁকাক্লাস, স্বচিত্র বিল, নামে ব্যাণিজিক মিশন




অক্ষর প্রবাল


কুত্রাপি


১।


ব্যাথাহীন নাবিকের বুকের গভীরে যে শুশুক খেলা করে 

তার চোখে আজ বিষন্নকাল।

হাসির আড়ালে দম—সাঁতারের আহ্বান ছুঁড়ে দেয় সে।

আমি নিতম্বের মতো নরম দুঃখ বুকে নিয়ে

জল এবং ঢেউয়ের জলজ নৃত্য দেখি।

নীরবতার বরফ মেপে এগিয়ে যাই প্রলাপের শহরে ।

আমার কাঁধে ক্ষুধার খতিয়ান

আর পিঠে নাবিকের দিনলিপি।

ও নাবিক! চাতক বাঁচে মূলত আশায়—

জলের চাহিদা তার শুধুই অজুহাত।


২।


খেলা তো শুরু হয়ে গেছে ভাই

মেলা তো গুরু বকেছেন হায়!

লাভ নাইÑতারচেয়ে আসুন...

বসুন ঠাণ্ডা, গরম কিংবা বাষ্প অর্ডার করুন

ধরুন কান্না কিংবা হা...হা! 

আহ্ হা ঘেমে গেছেন দেখছি!

কেবল তো কলির সন্ধ্যেÑপুরো রাত বাকি

ফাঁকি দিয়ে লাভ নাইÑ ভাই, পড়ে গেছেন ফাঁকে

বাঁকে বুলি বিলিয়ে ফল পেড়ে কত আর খাবেন!

ভাবেন একবার কী দেখছেন এভাবে

অ—ভাবে স্ব—ভাবে? বাঁশ নাকি লাশ?


৩।


প্যাঁচাল খুব হয়েছে, এবার থামেন আপনি

বেচাল খুব চেলেছেন দুবার ভাবেন নি।

লাভের গুড়, হাতির শুঁড় আর কত মাপবেন?

এবার ভাগবেন নাকি দৌড়াবেন?

এতোদিন ছিলেন ঘুঘু, এখন দেখবেন ফাঁদ শুধু।

চাঁদু, কুকুর—মুগুর সবই হবে মুখে দিয়ে মধু।

সাত—পাঁচ ভেবে আর লাভ নেই

ছাড় নেই জিভ কেটে দাঁড়ালেও

পালালেও মাফ নেই, দড়ি এবার পড়বেই গলাতেই।



 

আবু ইমরান


কুত্রাপি


১।


পরশ্রী দর্শনে আয়ুষ্কাল হয়ে গেল গরল

পরস্ত্রী দর্শনে অন্তরে ক্ষয়ে হল অনল

অমল হৃদয়ে কেউ পেয়েছে কি নির্বাণ?

নিশাবসানে সবাই এক চক্রে ঘোরে

ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে স্বেদপূর্ণ ঘরে।

বসন স্খলনে মেলে আত্মপরিচয়,

পরিণয় সর্বক্ষেত্রে পরিণতি নয়।

হয় ধরো নয় ছাড়ো, তূণ রাখো ঠিক

যা দ্যাখো চক্ষে তুমি তার কতটা অধিক!


২।


কাছায় ঝুলে আছে বর্গী জোঁক

কোন ঝোঁকে অদ্য আকন্ঠ খাতক!

মাচায় আসীন বুঝতে গেলে যুঝতে হয় খোদ,

জোতচোর পগারপার নিয়ে উঠোনের জবা

প্রভায় প্রোজ্জ্বল প্রভাকর কমায় না শোভা।

সভা বলো আর বলো পঞ্চায়েত—সমিতি

রীতি এক, দফা এক খুলে নেবে ধূতি!

ফুলে উঠে ফেঁটে যাবে একদিন ফটাস!

ঠকাস কাকে বুঝে যাবি হারালে গামছা!

চামচা তো চামচিকা, মিছা না হাছা।

 

৩।


সন্তরণে সাগর পাড়ি অসম্ভব যেহেতু

ঋতু এখন হিম, এসো কম্বল চাপাই সন্তর্পণে। 

গর্জনে অর্জন ন্যূনাধিক 

দর্পণে অর্পণ করো কায়া

হায়া যদি থাকে হও ধীর।

স্থির হতে কে পারে এই বৈশ্বিক উত্তাপে?

নিজ চপ্পলে বস্তুত সবাই অন্য পা মাপে।

অন্য আসনে বসো কিংবা অন্য বাসনে খাও,

চাইলে নিতে পারো সাধের তালগাছটাও!

পেষণে কপট শ্রদ্ধা ছাড়া কিছু নেই;

ভাবছো কী? হারিয়েছো খেই?


৪।


দোলাচলে সিদ্ধ হচ্ছে না সমস্যা

দুরাশার আবছা সমীর বইছে নীলাচলে।

বাঁচার ঐশ্বর্য ‘আশার’ গূঢ় উদ্দীপক,

হন্তারক কাল কালা ক’রে দিচ্ছে জীবনের দ্যুতি 

প্রতারক অন্ধসকল বিক্রিত নিঃসংকোচ সম্মতি।

দিগন্তের রুধির আভা অত্র সমাপ্তিসূচক,

রূপক নির্ভর ইহলোক ছাড়ছে চক্ষুষ্মান

অন্দরে কানা তথাপি হাতে হারিকেন

অন্তরে জানে না তাই নিশ্চিত অমার অবসান।




Post a Comment

Previous Post Next Post