যমুনা এক্সপ্রেস কুত্রাপি সংখ্যা
পর্ব-০৩
শৈবাল নূর
কুত্রাপি
১।
আসেন ঘুমাই মগডালে হালেচালে দিন
যাবে দুর্দিনের দিকে তাতে কার কী আসে যায়!
হাই তুলেÑকামনাতাড়িত দেহের ভেতর চলুন
ঘাঁ—মনা বিতাড়িত করে করি কাম—কলা আরাধনা।
আমরা তো আধামরা যারা পূর্ণমরা তারাও নাকি কাঁদে পুনরায়,
ভাইÑসেও মানুষ আর আমরা!
বোধের চামরা খুলে যারা ঘুমাই আর হাসি
রাশি রাশি স্বপ্নের ভেতর কুঁজো হয়ে, ছলে
লোকে নাকি তাদের কবিচোদা বলেÑ
এই শোকে আর ফোটে না তো ফুল
তাই, রক্তজবা লাগিয়েছি মগজে।
২।
উড়ে যায় পাখি তুমি কেন বসে আছো ভাই!
খড়ের গাদায় সুচ খুচ্ছো নাকি? হায় খোদাÑ
ধাঁ ধাঁ—ভরা এ কোন মুলুকে রাখলা আমাকে
খালি জ্বরের ওষুুধ গাদা গাদা তাকে তাকে
বুঝি না মারপ্যাঁচ করি খ্যাঁচখ্যাঁচ আর
খবর পড়ি নাম আছে যার ‘নামজাদা’
হেরেম আছে যার সে কি হারামজাদা?
জানি না বাতাসের মতিগতি তবু শব্দে লড়ি
আড়ালে গালি দিলেও, সামনে সালাম করি।
৩।
কাঁপে উরু—ভ্রম্ন আমি জানি নে রাজার পাট
খাট ভেঙে ব্যাটা কে তুই তুলে দিলি মঞ্চে!
এ্যাহন আপনেরাই কন ছে:
গায়ে আমার ঘামের গোন্ধ, বউয়ের নাম ভানুমতী
অতি—জলে বাপ মরছে নাও ডুইবা
তাই বইলা কি রবীন্দ্রনাথ রে গালি দিছিÑ
হুনছি, জমিদার আছিলো, ঘুরতো নৌকায়
না ডুবে তবু কেন লিখলো নৌকাডুবি!
বজ্জাত, বাঁইচা গেছে, একালে জন্মায় নাই...
৪।
ঘুরে বেড়াও বেহুদা মেঘেদের দেশে
নানান বেশে ছবি ভাসে অন্তর্জালে
এই কলিকালে এসে আমি হলাম প্যাঁচাপাখি।
রাত জেগে দেখি তোমার গতর ও গরিমার রিলস্
টাটানো মন, সারাক্ষণ শীতে লাগে গরম
চরম কবিতার লাইন আসে নেচে নেচে
ভেতরে বাস করে এক বকসাধক
সুযোগ পেলেই তুমি হবে এক মাছ—টোট
আঁচ করার আগেই তুলে নেবে জলের দু—ঠেঁাট।
অনিক রায়
কুত্রাপি
১।
অন্তরক্রর
লাবণ্যের যত্ন করি কামে
ঘামে ও প্রণামে অন্তরা সূত্র ছিলো বান্ধবে
বান্ধ হে অন্ধ—রোদ খুলে
বোধের খোরাক শোক
সোধের বরাক হোক
স্বপ্ন পুনে পচন ধরে ধরণীর
মাতনের অতল জলে জ্বলে ওঠে স্নায়ুর আদিম
মাটির বোতলে বন্দী জীবন বিভৎস বিদিকে
তবু শিশির শুকানো সকাল চেনে না হ্রাসের রতিকে।
২।
অঘ্রাণে হাতমারা রাষ্ট্রব্র্রম্মপথ
বরং হাত মারি ভৃত্যর সাথে সরঙ স্বাদ দাড়িটানে
আধার হবে অঘ্রানে কে হবে আদিত্যবেশী ঋদ্ধ
স্রোতশূন্য অন্তকে কে আকাশ কাঁদে
ছেঁকে রঙরোদ ফ্যালো অন্তর—তপে
ছাইপড়ে কালীল শিশির যন্তর মেঘ জপে
লাবণ্য থাকে আলাপ পচনধরা কালভাটে
ওখানে ঘর সুরঙ্গ সতীর্থের আলোয়
সেদিন পড়ি অন্তরা ঘেঁষে বেদ রাষ্টে্রর ব্রম্মপথে
বৎস আদিদেব কুয়ায় হয় থরথর বাঘছালে হিম
আমার সমস্ত সৃষ্টির একে গলে যাচ্ছে লাবণ্য পুন অসীম।
৩।
বিকুলাঙ্গ কামের অক্ষ
অক্ষ যদি হতো ঘরানার শুভ
বক্ষ ভেদি ব্রত কোপে মুড়ির বুলেট এই কী ধ্রুব,
হে সাধুভাষ জীবনে বন্দী গমগম ফোটে কুরুল প্রেম
সে অন্তবাস মরনে ফন্দী কম কম জুটে মোড়ল থাকতেম
বেকি মেয়ে হেটে যায় বিকুলাঙ্গ কামের পুনে
বীজ কোষ দণ্ডদ্বারা এই লেবু
সঙ্গম করেন ভারাকরা সেই প্রভু
যে যত্নে সাড়ি নার্সারি ও ভুক যমজ প্রত্যয়ের চেপায়
সে রত্নেœ আত্মমারি ভো সুখে ক্ষারজ ভয়ের ভ্যাবায়।
৪।
বিষমুখে মুক্তা
মরবে কণাশ্রম্নতি হে বিষপ্রেম
সরবে ফণা প্রীতি
জলপুঙ্গ দেখছি স্রোতের সাথে
অচল নেমেছে নিশ্চুপে নির্জন—জলকেলিতে আলো
ঝিনুক ঘেমেছে ডুবে লোকালয় শুক্রথলিতে তোলো
নদীরপাঠ থামিয়ে রাখছে নৌকা
ডুবরি কেনো শ্মশান থেকেই আসে?
জলপুরাণের মধ্যে সূতিকাগারে বৈধ কামে ফেলি শুঁকে
সন্তান জলের মধ্যে তীর খেলে দৈত উদ্দামে ঝিনুকে
৫।
সে এক রাষ্ট্রপাতা
তুলসী রাখো হাতভরা তুমি
ঢুলছি, রাষ্টে্রর তুলো পাখাতে
কে আছো সেই আখায় সাড়া দাও
রে বাচো নেই থাকায় পাড়া যাও
চোর বলবো করিনা অসস্মান
তিথি আছে আগুনে?
ফাটে হে সাধুতাল
শোক নয় বন্ধ হলে অনাচারী মুষ্টি
রোগ হয় অন্ধ বলে বিচারী গুষ্টি
৬।
রিপু সুর অন্তরা
অন্তরা থেকে হয় কালবনে কাটা
জোরা রেগে ক্ষয় শালবনে পাঁঠা
সেই ছালে কতভাগ জোচ্চুরি
আমি রক্ততালে তুমি কই
নেই দিন বুঝে গেলো মেঘ দক্ষের শরীরে
অপোচলিত মস্তক প্রজাতি প্রজাদের
পাঁঠা বিজ্ঞান বুকে নিয়ে ভাসি সুরে
কি নেবে গান ভরা আগুনে ঘী ফুরালো মাথা থেকে
ছি ছেঁাবে টান ছাড়া কাকনে রী জুরালো কথা বেঁকে।
তাইবা তুলবি
কুত্রাপি
১।
স্বরের নয়, হীনতার আনন্দ
দাঁতের শোভা আনে;
কন্ঠের তৃণ কারাবাস ভোগ করো বিনয়ে।
ফানুসের বহনে প্রভাত— কে ছুটিতে রেখো না
প্রভাবে যে দিশা ধরে ত্রুটির,
নিভে যায়, পুড়ে যায়;
স্বভাবের মিশ্রণে কালো করে তুলো না
প্রকৃতির উদার রং; তোমার বচন
করে আরাধনা গুঞ্জন, অন্যের হৃদয়ে।
২।
তিরোধানে আবির্ভাব ঘটে শূণ্যতার,
সিন্ধুর বালি বিরহের রূপালি নিয়ে
জ্বলতে থাকে চিকচিক,
টিকটিক অনুভূতি গণকের ভ্রমে
জাদু ফুঁকে উত্তাল উর্মির বুদ্বুদে।
জানি বিন্দু কুয়াশায় ফিঙ্গের বুকের অভাব
জরির কালোতে লুকানো, তাই পূণ্যের আগুন জ্বালিয়ে,
আমি দু হাতে গালে দিই
বিশ্বাস, আস্থা ও প্রশান্তির তাপ।
৩।
বিভৎসতার প্রহর ভেঙে জেগে ওঠো তুমি,
রুমির মোহর ছেপে থাকে বকুলে।
বহর ফুলের দেখোÑ
ভুলের রং, রূপ, অপরূপ।
সৃজনীর বুকে তো দৃশ্য আঁকে দু’কূলে।
বিধাতার অঙ্ক—তে সবই শ্রেষ্ঠ যত সৃষ্টি
অমল দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখো, সকল সত্যÑ
শ্রেষ্ঠত্ব বরণ করেছে
ভুল অথবা ফুল সমস্ত রণে, রীতির বিপরীতে।
প্রবাহিত
কুত্রাপি
১।
তুমিহীন আমি এক ভূমিহীন জুমচাষি
যে জীর্ণতা নিয়ে পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরছি বন্য হয়ে
ক্ষয়ে যাওয়া ক্ষরণ পেরিয়ে ক্ষণিক
খালি পায়ে হেঁটে আসে মরণ বারোমাসি
বুকের ভিতর রণ সাজিয়ে ভণিতার বণিক
দিকবিদিক লুট করে নিয়ে যায় আমাকে
তুমিহীন আমি তো বিরহের আসামি
বেদনা বিদ্ধ করেছে যাকে নিজহাতে
আর যার স্মৃতিরা উড়ছে শূন্যতায় ঝাঁকে ঝাঁকে।
২।
অন্ধকার তাড়া করে পিছু
বন্ধ দ্বার ভাড়া ঘরে নিচু
কিছু বোঝার আগেই আগুনে ভস্ম হয় সব
নিরব ঘাতক হাঁটে নির্জন আঙিনায়
আমি নাই হয়ে গেলেও আমার বেদনা সমস্ত
থেকে যায় অক্ষত হায়Ñ
সব হারিয়ে হারাধন আমি এক একা
শূন্য হয়ে শূন্যতার দিকে যখন—ই তাকাই
বুকের ভিতরে বন্য এক হরিণ অকস্মাৎ ঘাঁই খায়।
মেহেদী হাসান
কুত্রাপি
১।
ডান্ডা খেয়ে ঠান্ডা
চোর, দেখ খোলা আছে জানালা—দোর
মোর কবিতা নিয়ে যা, জাগে নাই ভোর
মাগার আঁধার, পাগুলো গোটানো তার
আমার খসখসে চাপানো পায়ের ভেতর,
মোর বিবাহিত সম্পত্তি সে, ভালোবেসে
অবশেষে পেয়েছি যারে শুধু তারে ছাড়া
আঁকাড়া নিয়ে যা সব, নিয়ে যা ব্যালট
ভোট দিয়ে দে জলে, পলে পলে ঈগলে
খাবলে খাচ্ছে আজ নিজ জলের মাছ
আজ আর খাতার নাই সবিশেষ কাজ
ভাঁজ চায় না কাগজ, তালামুখে কলম
ডান্ডা খেয়ে ঠান্ডা মন্ডা বিবেক—বল্লম।
ফরহাদ নাইয়া
কুত্রাপি
১।
বোধ
ও ভান
কান ছিড়ে ফেলবো তোমার
হোমার কি অন্ধ ছিলো
বন্ধ ছিলো তার দেখা
লেখা কই থেকে এলো
ফেলো শিপ নিয়ে কতদূর জাহাজ
বাহাছে বাক্য যাবে ডুবে
পুবে চালাও পশ্চিমে শীত আর বরফ
হরফের নাম গাও বাংলা
মংলা পোর্টে ভাসে শত নাও
যত গাও বাংলা ছাড়া পাড় পাবে না পাড় পাবে না।