কবি নিত্য রঞ্জন পালের কাব্যগ্রন্থ ‘প্রাণপঙ্ক’ আলোচনা

কবি নিত্য রঞ্জন পালের কাব্যগ্রন্থ ‘প্রাণপঙ্ক’ যেন ইতিহাস, দর্শন আর প্রেম-প্রকৃতির অনন্য মিশেল 

যাহিদ সুবহান




০১.

বলা হয় কবির দুঃখবোধের শেষ স্তরের বহিঃপ্রকাশ কবিতা। দুঃখবোধ কবিতার প্রধান উপাদান; উপজীব্য। জীবন বিচিত্র; বিচিত্র রঙ তার। জীবনের এই দূরন্ত-উড়ন্ত-বিচিত্র এবং ক্ষীপ্ত চরিত্রের বিভিন্ন দিক কলমের আঁচড়ে লিপিবদ্ধ করে রাখে কবিতা, কবি লিপিকার মাত্র। তুলোমেঘের মতো শাদা আমাদের জীবন। জীবনের অনুভূতিগুলোই তুলোমেঘ। কখনো সে ভেসে বেড়ায় শরতের নীল আকাশে, কখনো আবার বৈশাখের আকাশ কালো করে রুদ্রমূর্তি আকার ধারণ করে। জীবন পাখির মতো উড়ে বেড়ায়। জীবন আকাশের-বৃষ্টির-মেঘেদের। আকাশে ল্যাপ্টে থাকে, স্বাধীনতার ঝাÐা হাতে উড়ে বেড়ায় বিস্তৃত সীমানায়।


বিশ্বসাহিত্যের ভৌগলিক মানচিত্রের অধিকাংশ জুড়ে আছে রাশিয়ান সাহিত্য, ইউরোপীয়ান সাহিত্য। এই শব্দগুলোই আমরা বেশি বেশি শুনি। এশিয়ান সাহিত্য কিংবা ভারতীয় সাহিত্য এরূপ শব্দ আমরা তেমন শুনি না। সকল বিষয়ে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের তুলনা হলে সাহিত্যের ক্ষেত্রে এ হিসেব একেবারে শূন্য। বিষয়টি কি তবে এমন যে, এশিয়ার সাহিত্য বিশ্বদরবারে শক্ত খুঁটি গাড়তে পারেনি? প্রশ্নটা তোলা থাক। তবে এশিয়ায় যে বিশ্বমানের সাহিত্য হয় না একথা কেউ স্পর্ধা দেখাবেন না বোধ করি। বিশ্বসাহিত্যে শক্ত খুঁটি গাঁড়তে না পরলেও বাংলা সাহিত্য দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে দূর্বার গতিতে। এর জলন্ত প্রমাণ তো রবীন্দ্রনাথ! অজগ্রামের রবীন্দ্রনাথ তো সেই একশ বছর আগেই নোবেল পেয়েছেন। তার মানে কী? আমরা বসে নেই, ঘুমিয়েও নেই!


০২.

কবি নিত্যরঞ্জন পালের চার ফর্মার আলোচিত বইটি হাতে নিলাম, দেখলাম, পড়লাম কয়েকবার। কবিমুখ দীর্ঘদিনের চেনা। তাঁর কবিতার সাথে কিঞ্চিৎ পরিচয় আছে। কবি নিত্যরঞ্জন পাল চিনা ভাষার ১০০ কবিতাকে বাংলা ভাষায় ভাষান্তর করেছেন। এ কাজটি তার সহজ হয়েছে চিন দেশে পড়াশোনা করার সুবাদে। চিনা ভাষার বেশ কয়েকজন কবির কবিতাগুলোকে বাছাই করে বাংলায় ভাষান্তর করেছেন কবি। চিনা ভাসার ভাষার এসব কবিতার বাংলা ভাষান্তর করা তার একটি গ্রন্থও আছে। চিনা ভাষায় তার বেশ দখলও আছে শুনেছি। নদী যমুনাকে নিবেদন করে তার একটি বড় মাপের কাব্যগ্রন্থও পড়েছি; যে কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো আবার ইংরেজিতে ভাষান্তর করা। 


এদেশে সব শ্রেণির মানুষের কবিতা পড়ার সুযোগ কম; লেখারও। কম সুযোগের যে শ্রেণির মানুষ আছে, মনে করি কবিও সেই শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত একজন। তিনি পেশায় একজর চিকিৎসক। ছুড়ি-কাঁচি নিয়ে তার কারবার। নানা রকম তার সীমাবদ্ধতা। তবুও সকল সকল সীমাবদ্ধতাকে ঠেলে তিনি লিখেন, লিখছেন; ভাবতে ভালো লাগে। নিশ্চয় তিনি একজন যোদ্ধা, কবিতা যোদ্ধা। আর যোদ্ধাদের অমৃতবিক্রমী সাহস থাকা স্বাভাবিক। কবিকে শুভেচ্ছা। এদেশের অনেক চিকিৎসকই সাহিত্যে বেশ সফল হয়েছেন। কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, মামুন হুসাইন তার ভালো উদাহরণ হতে পারে।


০৩.

কাব্যগ্রন্থটির আরো গভীরে প্রবেশ করতে চাই পাঠকসমাজকে সাথে নিয়ে। অলিগলি ঘুরে তবেই গ্রন্থটির স্বার্থকতা বিচার করা যথার্থ হবে। শৈলি কিংবা ভাবের না দিক দিয়ে কবিতাগুলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। কবি নিত্য রঞ্জন পালের কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি প্রেম ও দার্শনিক মত। কী রোমন্টিকতা, কী ইতিহাস, কী দর্শন সবকিছুর মিশেলে প্রাণপঙ্ক একটি আকড় গ্রন্থ। কবি তার অর্জন করা জ্ঞান আর প্রজ্ঞা দিয়ে পৃথিবীকে যেভাবে দেখেন সেভাবেই শব্দের সাথে শব্দের মালা গেঁথে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটান।


দারুণ রোমান্টিকতা আছে কবির কবিতায়। কবিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কবির রোমান্টিক হৃদয়ের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়। কবি কখনো নারী, কখনো প্রকৃতি, কখনো বা আত্মার গভীর দহনের কাছে পরাজিত হয়েছেন, মগ্ন হয়েছেন সেগুলোর প্রেমে। মহাজাগতিক এক তৃষ্ণা কবিকে ব্যাকুল করেছে। এই আকুলতার নিঃসরন হয়েছে কবিতার অভিব্যক্তি দিয়ে। কয়েকটি কবিতার বেশ কিছু চরণ খুব পাঠমুগদ্ধতা দান করবে পাঠককে। কবি লিখেছেনÑ ‘আসলে, বয়স যাই হোক/ সেই তো যুবক যৌবন তো তারই/ শক্তিতে ভরপুর যার মন ও মনন।’ (শিরোনাম: মনের বয়স) অথবা ‘‘ছুঁতে চায় মন মোর ওই আসমান/ প্রিয়ার চোখে দেখি সবই ভাসমান।’’ (শিরোনাম: তোমার মুখমÐলে)।


প্রাণপঙ্ক কাব্যগ্রন্থের বেশ কিছু কবিতায় কবির দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। বাংলা, বাঙালি, বাংলাদেশ কবির আরোধ্য যেন। এই বাংলাদেশ বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন। এ দেশটির জন্য বাঙালি আশায় বুক বেঁধেছে হাজার বছর। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামের বিরল দৃষ্টান্ত। আমাদের এই গৌরবময় অর্জনের কারিগর বাংলা মায়ের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর মোহন বাঁশির সুরে মোহিত হয়ে বাংলার এই দামাল ছেলেরাই সেদিন ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এক সমুদ্র রক্ত দিয়ে কেনা আমাদের মানচিত্র; লাল-সবুজ পতাকা। কবিতায় প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি টান কবির দেশপ্রেমকে প্রমাণগ্রাহ্য করেছে। এই দেশ বাংলাদেশকে কবি পরজনমেও এমন করেই পেতে চান। বইটিতে আমি বাঙালী, বাঙাল, নামকরণ, বাঙালির শেকড়, চৌদ্দ ডিসেম্বর শিরোনামে এমন বেশ কয়েকটি কবিতা রয়েছে। কবি লিখেছেনÑ ‘‘মধ্য রাত স্তব্ধ/ গাড়ি থামার শব্দ,/ জুতার আওয়াজ খটখট/ দরজায় ঠক ঠক, / কে? এতো রাতে কী দরকার?/ দরজা খোলেন স্যার/ ও তুই! আয় বস্/ এতো রাতে কী চাস?’’(শিরোনাম: চৌদ্দ ডিসেম্বর)


কবি নিত্যরঞ্জন পাল একজন মাটিবর্তী মানুষ। মাটিবর্তী মানুষের প্রতি তার ধারাবাহিক টান চোখে পড়ার মতো। নরম মাটিকে শিল্পীর হাত নিঁখুত তপস্যায় কীভাবে শিল্প করে তুলতে পারে কবি তা অবলোকরন করেছেন সেই কিশোরবেলাতেই। পালবাড়ির ঐতিহ্য তার রক্ত আর হৃদয়ের পরতে পরতে গাঁথা। তাই কবির শৈল্পিক দৃষ্টি সারাক্ষণ খুঁজে ফেরে এইসব মাটিবর্তী মানুষকে। কৃষকও মাটিবর্তী শ্রেণির প্রতিনিধি। কী রোদ, কী বৃষ্টি, পুড়ে পুড়ে কিংবা ভিজে ভিজে মহৎ কৃষকই আমাদের মুখে তুলে দেন খাবার। অথচ এই মহৎ পেশার মানুষগুলোর খোঁজ আমরা রাখি ক’জন? সর্বহারা-কৃষক-মজুর-ভূমিহীন এই শ্রেণির মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধের পরিমিতি আমরা দেখতে পাই কবির কবিতায়। কবি লিখেছেনÑ ‘‘আমি কেবল জানি/ ক্ষমতাবানেরা মাথার মনি,/ তারাই টিকে থাকে,/ ইতিহাস কেবল তাদেরই রাখা হয় লিখে।’’ (শিরোনাম: প্রাকৃতিক নির্বাচন)


কবি তার সরল জীবনাচারের মতোই দৃঢ়ভাবে স্বীকার করেন তার শেকড়ের কথা। কবির অনুসন্ধিৎসু চোখ খুঁজে ফেরে সেই সোনালি অতীত, বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসের ডালপালা। কবি বাঙালির ঘরে জন্ম নিয়ে গর্ব করেন। বাঙালির রয়েছে ছয় হাজার বছরের বীরত্বের ইতিহাস। বাঙালি কাউকে আঘাত করে কিংবা বিতারিত করে নয় বরং হৃদয় ভালোবেসে, শক্ত মাটিকে উর্বর করে ফসল ফলিয়েছে। কঠিন পাথরকে পরিণত করেছে সোনায়। পৃথিবীতে প্রথম হাতিকে পোষ মানানোর মতো অর্জন শুধু নিষাদ বা বাঙালি জাতিরই আছে। বাঙালির এই যে ইতিহাস আর ভুবনজয়ী অর্জন আর কোন জাতির আছে? এই ভূমিতে হাজার বছর ধরে অনার্য, আরব, ইউরোপীয় আর ব্রিটিশদের আগমনের পর হয়তো দীর্ঘ মাথা, চ্যাপ্টা নাক, খর্বকায় কৃষ্ণ দেহধারী বাঙালি শংকর জাতিতে পরিণত হয়েছে, কিন্তু বাঙালির সে নৃ-তাত্বিক পরিচয় কি ভোলার মতো? কবি কোনোভাবেই তা ভুলতে চান না। তিনি বাঙালি হয়েই থাকতে চান। কবি লিখেছেনÑ ‘‘দীর্ঘ মুÐু, চ্যাপ্টা নাক, খর্বকায় দেহ/ গাত্রবর্ণ কৃষ্ণকায় অস্ট্রেলডীয়--/ বংশ পরম্পরায় এখানে আমার বাস।/ আমি কোল-ভিল-সাঁওতাল-শবর-পুুলিন্দ/ অনার্য ব্রাত্য-নিষাদ এতে কী আর সন্দেহ,/ এ বঙ্গ আমার প্রকৃত বসবাস’’ (শিরোনাম: ব্রাত্য-নিষাদ) অথবা ‘‘আমি বাঙালি বঙ্গের অধিবাসী/ আমি নিষাদের ডালপালা/ আমি আর্যও নই আরবও নই/ আমি অন্ত্যজÑএটাই হোক আমার পরিচয়।’’ (শিরোনাম: আমি বাঙালি)


প্রাণী কিংবা মানুষের উদ্ভব নিয়ে কবির আলোচনা তার বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরে। এই যে শুণ্য থেকে সবকিছুর উৎপত্তি এ দর্শন কবি পুণর্বার ব্যক্ত করেছেন। কবি লিখেছেনÑ ‘‘তার আগে ছিল  না কিছুই আর;/ ছিল কেবল শূন্য আর শূন্য,/ তারপর এলো হিলিয়াম, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন.../ ধাপে ধাপে জল।’’ (শিরোনাম: প্রাণের আকর) 


মৃত্যু পৃথিবীর চিরন্তন সত্য। মৃত্যুকে অস্বীকার করার দুঃসাহস কেউ দেখানোর সাহস পায়নি এখনো। মৃত্যুভাবনা একটি গভীর দর্শন। পৃথিবীর অনেক মনীষীই মৃত্যু নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। অনেক কবি-সাহিত্যিক-গবেষক তাদের লেখায় তুলে এনেছেন মৃত্যু ভাবনাকে। রবীন্দ্রনাথের অনেক রচনাতেই মৃত্যু ভাবনা রয়েছে। মৃত্যু নিয়ে তিনি ভেবেছেন, লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের ‘‘সোনার তরী’’ কবিতা মৃত্যু ভাবনার অনন্য উদাহরণ। কবি নিত্য রঞ্জন পাল কবিতায় মৃত্যু ভাবনাকে তুলে এনেছেন। আমার মৃত্যু সংবাদে, মৃত্যু আছে বলেই, খÐাংশ শিরোনামের কবিতায় কবি তার ভাবনার উদ্রেক ঘটিয়েছেন। অন্য একটি কবিতায় কবি লিখেছেনÑ ‘‘বৈঠকখানায় সারি সারি রাখা সাজিয়ে,/ আমার পূর্বপুরুষের ছবিগুলো/ পিতা, পিতামগ, প্রপিতামহ.../ পর পর আছে দাঁড়িয়ে।/ হয়তো পিতার ডানে/ হবে আমার স্থান,/ তার ডানে পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র.../ রবে দন্ডায়মান।’’ (শিরোনাম: খÐাংশ)


প্রকৃতি প্রেম কবি নিত্য রঞ্জন পালের কবিতার বিশেষ দিক। কবি প্রকৃতিকে ভালোবাসেন প্রিয়ার মতো। কবি কখনো বৃষ্টির জন্য প্রতিক্ষা করেছেন, কখনো বসন্তে ফুলে মায়াবী রঙে মজেছেন। বিপুলা পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্য আর অকৃপণ মহত্ত¡ উল্লেখ করে কবি লিখেছেনÑ ‘‘উত্তাল গ্রীষ্ম গেছে চলে,/ প্রাণে স্পন্দন এনে/ দুগ্ধবতী বর্ষা নিয়েছে বিদায়।/ শরৎ এসেছে/ আমার জীবনে।’’ (শিরোনাম: শরৎ এসেছে)


প্রাণপঙ্ক কাব্যগ্রন্থের প্রায় সব কবিতাই সুখপাঠ্য। কবি এই কাব্যগ্রন্থটিতে তাঁর সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করি। দারুণ দ্বন্দ-রোমান্টিকতায় ভরা কাব্যগ্রন্থটি। কবিতাগুলোতে ছন্দের দ্ব›দ্ব রয়েছে। শৈল্পিক বিচারে এখনই কবি নিত্য রঞ্জন পালের কবিতা নিয়ে গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। কয়েকটি কবিতাকে গ্রন্থের সাথে মানানসই মনে হয় নি; সাধারণ ঢঙে লেখা। কিছু বানান এবং অপচলিত শব্দের ব্যবহার পাঠককে ধন্দে ফেলে দেবে বলে মনে হয়। গ্রন্থটির অভ্যন্তরীণ অঙ্গসজ্জায় আরো নজর দেওয়া জরুরী ছিল। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শফিকুর রহমান। চাররঙা প্রচ্ছদ হলেও নান্দনিকতার এতে ঘাটতি আছে। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে কবির পিতা-মাতাকে। প্রকাশনা সংস্থা গাঙচিল প্রকাশনী। বইটির শুভেচ্ছা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে দুইশত টাকা মাত্র। সব মিলিয়ে কাব্যগ্রন্থটিকে একটি সার্থক কাব্যগ্রন্থ বলে মেনে নেওয়া যেতে পারে। এই কাব্যকর্ম কবির অক্লান্ত চেষ্টাকে পাঠকের সামনে উপস্থিত করে পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হবে বলে আশা রাখি।



লেখক পরিচিতিঃ

যাহিদ সুবহান

কবি, গল্পকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক , সম্পাদক: সপ্তর্ষি, পাবনা।


Post a Comment

Previous Post Next Post