মাহমুদ শাওনের কবিতা
কবি
কলম দিয়ে কাগজ ছুঁয়ে যে বলে গাছের দুঃখ।
জ্বালানি
তুমি চলে যাবার পরে আমি ভেঙে পড়েছিলাম। কিছুদিন পরে আবার ফিরে এলে।
তোমার নতুন সংসারে উনুন জ্বালানোর জন্য নিয়ে গেলে আমার ভাঙাটুকু।
মোমবাতি
নিজের আয়ু দিয়ে আঁধারকে গল্প শুনায়।
টেলিপ্যাথি
মানুষের মৃত্যু আগে আঁচ করতে পারে জুতা,
জানে হাঁটবে না আর এই পা।
জিঘাংসা
নারী মূলত শান্ত নদী,
পুরুষ জানেনা যে জলের নাব্যতা।
বাবা
পৃথিবীতে যার
ছেঁড়া শার্টের ভেতর দিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়।
নষ্ট ফুলের পরাগায়ন
ছেলেটি অতোটুকু কষ্ট পেতে চায়নি
ভালোবেসে থাকতে চেয়েছিলো নিঃশ্বাসের পাশে,
ভালোবাসার সিজন ধরে ভেসে যাওয়া ভরা শ্রাবণে
ভিজেনি ছেলেটি,
দারুণ কষ্টের পশরায় মেয়েটি বলেছিলো ভিজতে
অনাকাঙ্ক্ষিত বেদনার শ্রাবণে।
অভ্যাসের ঘরে আদরের অন্ধকার ধরে নেমে এসেছে
অন্য ফুলের ঘ্রাণ,
যুগলে ঘর্মাক্ত ভালোবাসার আলোয়;
শরীর জেগেছিলো লোডশেডিংয়ের রাতে।
প্রেমিকার অপেক্ষায় থেকে থেকে
ছেলেটি জানতে পারলো
মাছ কেন জল ছেড়ে থাকতে পারেনা,
মাছের কষ্ট কেন কারো চোখে পড়ে না;
পুরোনো গাছ উপড়ে ফেললে পাখির যেমন
নতুন নীড় খুঁজতে হয়,
ছেলেটি প্রেয়সীকে ছেড়ে খুঁজছে
নতুন এক নষ্ট নীড়।
Tags
কবিতাগ্রন্থ