জোড়াহাঁসের যৌথবিলাপ ও অন্যান্য কবিতা: ইহিতা এরিন

 ইহিতা এরিনের কবিতা





জোড়াহাঁসের যৌথবিলাপ


পান করছি প্রাতরাশ; চারিদিকে শশ্মানের নিশ্চুপ উৎপাত
সমাধির ভেজা মাটি, ছড়াচ্ছে প্রিয় অপ্রিয় রক্তের ঘ্রাণ
শৃঙ্খলিত উপবাসের যন্ত্রণায় ঝিনুকফুল
ইচ্ছে হয় কড়া নাড়ি সবকটা বেডরুমে, জিজ্ঞেস করি অজানা যৌথবিলাপ
তারপর নিঃসন্দেহে দেখি অযৌনতায় ড্রয়িংরুমে পুতুলের নীরব কান্না ;
বিলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে পাউরুটিফুল
এই পবিত্র দুহাতে লুন্ঠন করি বুভুক্ষুের সমস্ত চরাচর
যেন ক্রুশের পেরেক থেকে উবে যায় আলোকচ্ছটা!
প্রভাতের আখিপল্লব, চোখ মেলো না!
আমাদের দাও রোজকার আয়ু ফুরানো প্রত্নতাত্ত্বিক যৌনঅন্ন।
যৌন সম্পর্কের কারণে তুমিআমিআমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে 'আমরা' হতে পারিনি
হয়েছি তুমি, আমি, আপনি...
তবে চলো, আদিম মানুষের মতো আজ
বিবাহহীন যৌনতা নিয়ে
ধুকে ধুকে মরি...




অনিয়ন্ত্রক নিজস্বতায়

যখন পৃথিবী শূন্যতায় ঘুরবে
তখন আমি মৃত তারা হবো।
নিজের ছায়া যদি ঢেকে দেয় নিজের আঁধার;
তখনও কী বলবে তুমি নেই!
অতীত প্রজন্মকে যদি হত্যা করি
অথবা গিলতে শুরু করি নিজেকেই!
তখনও কি প্যারালাল ইউনিভার্সের
আমি-সে-তাহারা বলে উঠবে;
তুমি বলে কিছু নেই!
পুরাণের শ্লোক বাতিল এখন
ভুট্টাভাঁজা হয়েছে পপকর্ন,
সবই চলছে অনিয়ন্ত্রক নিজস্বতায়!
অথচ এখনও মানুষ প্রশ্ন তোলে না:
সৃষ্টির পূর্বে তুমি কী করতে?




ছায়া কুয়াশার ছবিগুলো


যে ধ্বনি ঝুলছে আমার জুতো থেকে ,
নিপুণভাবে শুনছি তার মৃত্যু-শব্দ
ঝুলছে স্ফটিক
রঞ্জিত এক দুষ্ট ছায়া
এভাবেই অতিক্রম করছি সমস্ত আয়তন
এক বালিকার পথে,
প্রসবাগারে দাঁড়িয়ে তুলে ধরলে কাঁধ
সত্যি বলছি, কেউ নেই কারোর জন্য অপেক্ষায়
অতঃপর নমনীয়
কুয়াশা আর ভাসা ভাসা কণিকার অবয়ব
তারপর স্বপ্ন এবং
বেজে ওঠা
যে ধ্বনির ব্যথা টের পেয়েছে যান্ত্রিক টেলিফোন
তার অরব মৃত্যুর পরও জেগে থাকে অনাঘ্রাত ব্রহ্ম ۔۔۔۔
কেবল পরম্পরায় সেই সীমা ও۔ শব্দের অনতিসজ্জা
দেখেও দেখিনি




Post a Comment

Previous Post Next Post